আমাদের উপর যেন কোনও অন্যায় আদেশ না দেওয়া হয়, হুমকি সেনার
অস্থির বাংলাদেশে পুলিশ, সেনাবাহিনীর অত্যাচারের নিন্দা করলেন সেনার জুনিয়র অফিসাররা। শনিবার রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসাররা জানিয়ে দিলেন, তাঁদের উপর যেন কমান্ড চ্যানেল কোনও অন্যায় আদেশ না দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা বৈধ দাবি নিয়ে রাস্তায় নামা সাধারণ ছাত্রজনতা এবং দেশের সকল সাধারণ মানুষের পাশে একাত্মতা ঘোষণার মাধ্যমে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে চাই। একটা বুলেট যদি ভুল করে হলেও সাধারণ নিরপরাধ মানুষের গায়ে লাগে বা লাঠির আঘাত লাগে, তাহলে সেনা বাহিনী পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
সেনার জুনিয়র অফিসাররা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক একটা দেশকে যারা সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিচ্ছিন্ন করেছে, সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে হরণ করেছে, ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনে আসা সাধারণ মানুষের উপর দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, তারা এই জাতির নেতৃত্বাসনে থাকার যোগ্য নন। আমরা রাজনৈতিক দল বুঝি না। ইতিহাসের গৌরবময় সকল সেনা বাহিনীর মতো আমরাও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত, ন্যায়ের পক্ষের সেনা বাহীনী হিসেবে থাকতে চাই।
বাংলাদেশের রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সেনাবাহিনীর এই বিবৃতি কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রকার বিদ্রোহের হুঁশিয়ারি। যেভাবে তারা বিবৃতি জারি করে সরকারের দেখামাত্র গুলির নির্দেশের নিন্দা করেছে, তা নজিরবিহীন। এই বাহিনী একেবারে খোলাখুলিই আন্দোলনরত ছাত্র এবং নাগরিক সমাজের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতির শুরুতে বলা হয়েছে, শুধু বাংলাদেশ সেনা বাহিনী নয়, সমগ্র দেশের সবচেয়ে শক্ত শিরদাঁড়া যাদের, সেই সেনা বাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের তরফ থেকে বলছি। সবুজে মোড়ানো যে ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম আমরা পরিধান করি, সেটা কোনও ঘুষ, কোটা বা কোনও দালাল মামর পরিচয়ে অর্জন করিনি। বছরের পর বছর না খেয়ে, আধো ঘুমে বা রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে এই ইউনিফর্ম গায়ে পড়েছি।